আল আমিন রানা ঃ কুয়েত প্রতিনিধি
সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রতিবছরই মুসলমানদের বড় দুই ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপন করে থাকেন। পবিত্র মাহে রমজানের দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ১৭ই জুলাই ২০১৫ রোজ শুক্রবার কুয়েত প্রবাসী মুসলমানেরা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। এতে বিভিন্ন দেশের নানান ভাষাভাষী মানুষের পাশাপাশি কয়েকটি মসজিদে বাংলা খুৎবার মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করেন কুয়েত প্রবাসী লাখো বাঙ্গালী। কুয়েত সরকারের নির্ধারীত সময় সকাল ৫টা ১৫.মিনিটে এক যোগে সমগ্র কুয়েতে বিভিন্ন মসজিদ ও মরুপ্রান্তর ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাঙ্গালীদের সব চেয়ে বড় ঈদের জামাত কুয়েতস্থ (হাছাবিয়া)র বড় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় সেখানে কুয়েত প্রবাসী হাজারো বাঙ্গালী ঈদের নামাজ আদায় করেন। প্রতি বছরের এই দিনে খুশির বার্তা নিয়ে বিশ্বের সকল মসুলমান ভাতৃত্ববোধে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত। কুয়েতের বিভিন্ন স্তরের কমিউনিটির মুসলমানরা স্ব-স্ব স্থানে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করায় ব্যস্ত থাকেন সারাদিন। প্রবাসী বাংলাদেশীরা ও তাদের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন বন্ধু-বান্দদের সাথে। কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন উদ্দীন এনডিসি.পিএসসি (অবঃ) বাসভবন “বাংলাদেশ ভবন” এ কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের ঈদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছেন সেই আমন্ত্রণে বাংলাদেশী সর্বস্তরের হাজারো প্রবাসী বাংলাশেীদের ঈদ আনন্দ মেলায় পরিনত হয় কুয়েতে কুরতুবাস্থ “ বাংলাদেশ ভবন”। সকাল ৯টা থেকে বাংলাদেশ ভবনে ঢল নামতে থাকে ব্যাচেলর ও স্বপরিবারে কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের। রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন উদ্দীন এনডিসি.পিএসসি (অবঃ) ও দূতবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ আগত অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময় ও আপ্যায়নের মাধ্যমে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন। সর্বস্তরের কুয়েত প্রবাসীরা রাষ্ট্রদূতকে একান্ত কাছে পেয়ে তাদের ঈদ আনন্দকে যেন অনেক মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সে সময় রাষ্ট্রদূতের সাথে ঈদ আনন্দেও এই দিনটিকে স্মৃতি করে ধরে রাখতে ছবি তুলতে অনেক ব্যস্ত দেখা যায়, দৈনিক ইয়াদ রিপোটার আল আমিন রানা সহ রিপোর্টার্স ইউনিটির ফটো সাংবাদিকরা বিভিন্ন জনের ফটো উঠাতে গিয়ে রীতিমত হিমসিম খেতে দেখা যায়। ঈদের এই আনন্দে বাংলাদেশ ভবনে আপ্যায়নের ও কমতি ছিলনা। সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অতিথি আপ্যায়নের সময় দেয়া থাকলে ও প্রায় ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মী রাষ্ট্রদূতের সাথে ছবি ও কুশল নিনিময় করতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া ভুলে যেতে দেখা যায়। বিভিন্ন স্তরের প্রবাসী বাংলাদেশী ডঃ,ইঞ্জিনিয়ার, কবি-সাহিত্যিক,সাংবাদিক, রাজনৈতিক,সমাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অসংখ নেতৃবৃন্দের সমাগমে“ বাংলাদেশ ভবন” প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। সে সময় রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন এনিডিসি.পিএসসি (অবঃ) বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন। একটি সূত্রে জানা যায় রাষ্ট্রদূত ঈদের নামাজের পর থেকে সকাল ৯টা পৃর্ব মুহুর্ত কুয়েতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, রয়েল পরিবারের পরিজন ও বিশিষ্টি ব্যাবসায়ী ব্যাক্তিবর্গের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন। কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক,স্থানীয় বাংলা ম্যাগাজিনের সম্পাদকবৃন্দ ও বিপুল সংখক প্রবাসী উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ ভবনে আনন্দে মেলায় পরিণত হয়। বাংলাদেশ ভবনে শুধু বাঙ্গালীদের এক প্রাণবন্ত দৃশ্য দেখে বলা যায় যা আমাদের দেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের সামনের দিনগুলিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার যোগসুত্রে মিলন ঘটানোর উৎসাহ যোগায়। রাষ্ট্রদৃত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দীন,এনডিসি.পিএসসি (অবঃ) মিসেস আসহাব উদ্দীন অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এবং ঘুরে ঘুরে অতিথিদের আপ্যায়নের খোজ খবর নেন। সে সময় দৃতাবাসের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। ছোট ছোট বাচ্ছারা ফুলের তোরা দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রদূতকে।